0
0
No products in the cart.

Welcome to The NRBnews24.com

ধরলার তীব্র ভাঙনে ফুলবাড়ীতে নিঃস্ব অর্ধশতাধিক পরিবার

Jul 27, 2025 / By The NRB News24 / in News

Untitled design (7)
 

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতাঃ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চরগোরকমন্ডল এলাকায় ধরলার তীব্র ভাঙনে অর্ধশতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়িসহ শতশত বিঘার ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই আগাম ঘর-বাড়ি অন্য এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে মুজিব কেল্লার ভবনটিসহ প্রায় পাঁচশতাধিক পরিবারের বাড়ি-ঘর, ভিটা মাটি শতশত বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় চরম দুচিন্তায় দুরদিন পার করছেন। ধরলার তীব্র ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে টেকসই তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। শেষ সম্বল ঘর-বাড়ি ও ভিটেমাটি নদীগর্ভে বিলীনের আশঙ্কায় চরম দুরদিন পার করছেন চরগোরকমন্ডল গ্রামের বাসিন্দা মোবারক আলী (৬০)। ধরলার তীব্র ভাঙনে ধরলা নদী বাড়ির কাছে এসে পড়েছে। ধরলার ভাঙনে ঘর-বাড়ি রক্ষা করতে ইতোমধ্যে অন্য জায়গায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে।

মোবারক আলী জানান, 'কি কই বাহে, ৬০ বছর বয়সে কমপক্ষে ৪ বার বাড়ি-ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। বাড়ী ঘর জমি জমা হারিয়ে পথে বসেছি। গত ৩ বছর ধরে মানুষের জমিদের ঘরবাড়ি করে স্ত্রীসহ অতিকষ্টে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। কিন্তু ভাগ্যের নিমর্ম পরিহাস ধরলার তীব্র ভাঙনে ভিটা মাটি হারিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে গেছেন।'

একই এলাকার আবুল হোসেন (৪০) জানান, নদী ভাঙতে ভাঙতে এখন আমাদের বাড়ি থেকে নদীর দূরত্ব ৩০ গজ। যে কোন মুহূর্তে ঘর বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছি তারা। ইতোমধ্যে নদী গর্ভে কাসেম আলী, মনসের আলী, আকবর আলী, আজগর আলীর ঘর বাড়ি বিলীন হয়েছে বলে জানান, স্থানীয় যুবক কামাল হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস, নুর আলম ও জাহিদুল। তারা জানান, ২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মুজিব কেল্লার ভবনসহ চরগোরকমন্ডলের প্রায় পাঁচশতাধিক পরিবার হুমকির মুখে।

 

Untitled design (8)
 

 

চর গোরকমন্ডল ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আয়াজ উদ্দিন জানান, 'চর গোরকমন্ডল এলাকার গত বর্ষায় ধরলার তীব্র ভাঙনে ৪০টি পরিবার এবং অর্ধ কিলোমিটার সড়কসহ শতশত বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সে সময় কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর ৫ থেকে ৬ হাজার জিওব্যাগ দিয়েছেন। কিন্তু ভাঙন ঠেকানো যায়নি। তিনি আরও জানান, বর্তমানে হুমকির মধ্যে আছে মুজিব কেল্লার ভবন, স্কুল, মাদ্রাসাসহ ওই এলাকার ৫০০ পরিবার। বর্ষার আগে ধরলার ভাঙন রোধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।'

নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাছেন আলী জানান, 'আমি ভাঙন এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। দুই এক দিনের মধ্যে ভাঙন রোধের জন্য কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর বরাবরে আবেদন জানানো হবে।'

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, ‌'চর-গোরকমন্ডল এলাকায় ধরলা নদীর তীব্র ভাঙন ঠেকাতে গত বছর ৭ হাজার জিওব্যাগ ফেলানো হয়েছে। আপাতত আমাদের কাছে এই মুহূর্তে জিওব্যাগ নেই। জিওব্যাগের বরাদ্দ আসলেই সরবরাহ করা হবে।'

প্রতিবেদনটি পাঠিয়েছেন > কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা থেকে জিয়াউর রহমান

0